ফারহান একাডেমি : ফারহান আহমেদ স্যার
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
ক) উদ্ভিদের প্রধান অংশ কয়টি ও কি কি?
উওর: উদ্ভিদের প্রধান অংশ ৩টি ১/ মূল ২/কান্ড ৩/ পাতা
খ) অপুষ্পক উদ্ভিদ কোন পরিবেশে জন্মে?
উত্তরঃ অপুষ্পক উদ্ভিদ ছায়াযুক্ত বা স্যাঁতসেঁতে শীতল স্থানে জন্মে। যেমনঃ মস, ফার্ন বা ঢেঁকিশাক ইত্যাদি।
গ) উদ্ভিদ পানি শোষণ করে কী দিয়ে?
উত্তরঃ উদ্ভিদ পানি শোষণ করে মূলের সাহায্যে। মূলের মধ্য দিয়ে পানি মাটির নিচ থেকে শোষিত হয়ে গাছের অন্যান্য অংশে পৌঁছে।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
ক) বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তরঃ বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো:
১) উচ্চতা: বৃক্ষ সাধারণত বড় আকারের এবং অনেক উচ্চতা হয়।
২) কাণ্ড: এসব গাছের কাণ্ড শক্ত ও কাঠালাগা হয়।
৩) গাছের শাখা-প্রশাখা: বৃক্ষের শাখা অনেক এবং এটি উপরের দিকে বিস্তৃত হয়।
৪) মূল: বৃক্ষের মূল মাটির গভীরে থাকে এবং শক্তিশালী হয়।
খ) গাছের ফুল ছিড়লে কী সমস্যা হবে?
উত্তরঃ গাছের ফুল ছিড়লে কয়েকটি সমস্যা হতে পারে:
১) প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়: ফুল গাছের প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্গ। ফুল থেকে বীজ তৈরি হয়, যা নতুন গাছের জন্ম দেয়। যদি ফুল ছিড়ে ফেলা হয়, তবে গাছের বীজ তৈরি হতে পারবে না এবং নতুন গাছ জন্মানোর সুযোগ কমে যাবে।
২) গাছের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে: ফুল গাছের জন্য শক্তি এবং পুষ্টি সংগ্রহ করতে সাহায্য করে। ফুল ছিড়ে ফেলার ফলে গাছের বৃদ্ধি ও বিকাশে সমস্যা হতে পারে।
ঘ) কান্ডের গঠন অনুযায়ী কত ধরনের উদ্ভিদ পাওয়া যায়? উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কান্ডের গঠন অনুযায়ী ৩ ধরনের উদ্ভিদ পাওয়া যায়। যথাঃ বিরুৎ, গুলা ও বৃক্ষ।
নিম্নে এদের উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা দেয়া হলঃ
বিরুৎ:এদের মূল বা শিকড় মাটির উপরে স্তরে থাকে। বিরুৎ উদ্ভিদ গুল্ম উদ্ভিদের চেয়ে আকারে ছোট হয়।
যেমনঃ ধান, সরিষা, মরিচ ইত্যাদি।
গুল্মঃ এসব উদ্ভিদের কান্ড শক্ত ও বিরুৎ এর তুলনায় আকারে বড় হয়। কান্ডের গোড়া থেকেই শাখা প্রশাখা বের হয়। এগুলোর মূল বা শিকড় মাটির বেশি গভীরে যায় না।
যেমনঃ গোলাপ, রঙ্গন, জবা ইত্যাদি।
বৃক্ষঃ কান্ড থেকেই শাখা-প্রশাখা ও পাতা হয়। এগুলোর মূল মাটির অনেক গভীরে যায়।
যেমনঃ আম, কাঁঠাল, বেল ইত্যাদি।